মালদা জেলা কংগ্রেসে রদবদল, কোতওয়ালিতেই দুই কংগ্রেসের রিমোট কন্ট্রোল

কোতওয়ালি ভবনের বাসিন্দা মৌসম নূর আগেই জেলা তৃণমূল সভানেত্রীর দায়িত্বে এসেছিলেন৷ এবার কংগ্রেসও ওই একই ভবনের বাসিন্দাকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দিল। ডালুবাবু হলেন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি৷
Bengal Live মালদাঃ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুনরায় কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব পেলেন সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী৷ বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলা নিজেদের কবজায় নিয়ে আসতে কোতওয়ালি ভবনের বর্ষীয়ান সদস্য, সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরির (ডালু মিঞা) উপরেই ফের ভরসা রেখেছে প্রদেশ ও এআইসিসি৷ সোমবার সন্ধ্যায় এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সেকথা জানানো হয়েছে৷
করোনা সংক্রমিত ডালুবাবু এই মুহূর্তে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা সম্পর্কিত এক মামলায় কলকাতায় রয়েছেন অপসৃত জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলমও৷
গনি খান চৌধুরির আমল থেকেই মালদা জেলা কংগ্রেসের গড় হিসাবে পরিচিত৷ তাঁর মৃত্যুর পর এই জেলায় কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে বহাল হয়েছেন গনি খানের বোন রুবি নূর, ডালু মিঞা, এমনকি মৌসম নূরও৷ তাঁরা সবাই কোতওয়ালি ভবনেরই সদস্য৷ এরই মধ্যে গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি খান চৌধুরি পরিবারের হাত থেকে সভাপতির দায়িত্ব হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলমের হাতে যায়৷ সোমেনবাবুর মৃত্যুর পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে অধীররঞ্জন চৌধুরিকে৷
খান চৌধুরি পরিবারের সঙ্গে অধীরবাবুর সুসম্পর্কের কথা সকলের জানা৷ এআইসিসি’র সিদ্ধান্ত নিয়ে মোস্তাক আলম জানিয়েছেন, দলের তরফ থেকে এখনও বিষয়টি জানানো হয়নি৷ তবে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে খবরটি কানে এসেছে৷ একইসঙ্গে তিনি জানতে পেরেছেন, প্রদেশের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন কমিটিতে রাখা হয়েছে৷
তবে এসব নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
অন্যদিকে ডালুপুত্র, বিধায়ক ইশা খান চৌধুরি বলেন, বাবা এর আগেও দীর্ঘদিন জেলা কংগ্রেস সভাপতির পদ সামলেছেন৷ চ্যালেঞ্জ নেওয়া তাঁর কাছে নতুন কোনও বিষয় নয়৷ সামনেই একুশের বিধানসভার নির্বাচন৷ শীর্ষ নেতৃত্ব হয়তো মনে করেছে, বাবার দীর্ঘ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই নির্বাচনে জেলার ১২টি আসনে জয় পাওয়া সম্ভব৷ তাই হয়তো এই সিদ্ধান্ত৷ আমাদের সবারই লক্ষ্য, বিধানসভা নির্বাচনে জেলার প্রতিটি আসনে জয় পাওয়া৷ তার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে৷
এআইসিসির এই সিদ্ধান্তে সম্ভবত গোটা দেশে আরেকটি নজির তৈরি হল৷ একই পরিবারের দুই সদস্য যুযুধান দুটি রাজনৈতিক দলের জেলা সামলানোর দায়িত্ব পেলেন৷ কোতওয়ালি ভবনের বাসিন্দা মৌসম নূর আগেই জেলা তৃণমূল সভানেত্রীর দায়িত্বে৷ এবার ওই ভবনের ডালুবাবু জেলা কংগ্রেসের সভাপতি হলেন৷