টাকার বিনিময়ে ছাত্রীকে পাস করিয়ে দেওয়ার টোপ, অভিযোগ থানায়

টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার টোপ ছাত্রীকে। অভিযোগ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগ থানায়। চাঞ্চল্য শিক্ষামহলে।
Bengal Live শিলিগুড়িঃ পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার নামে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। ছাত্রীর সাথে অধ্যাপকের টেলিফোনিক কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনা জানাজানি হতেই শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মাটিগাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দিলীপ পাল জানান, ছাত্রীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়ে মাটিগাড়া থানায় এফআইআর করা হয়েছে। অডিও ক্লিপটিও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবথেকে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জড়িয়ে গিয়েছে এই অপকর্মের সাথে। আমরা বিষয়টিকে কোনও ভাবেই ছোট করে দেখছি না। এদিকে অধ্যাপকের পদত্যাগের দাবিতে শিলিগুড়ি কলেজের সামনে বিক্ষোভে সামিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
গত দুই দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়৷ শোনা যায়, এক ছাত্রীকে টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার টোপ দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। অডিও ক্লিপটি সামনে আসতেই শিক্ষামহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। শুক্রবার শিলিগুড়ি কলেজে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেন ওই ছাত্রী। অভিযোগ পত্রে শিলিগুড়ি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক অমিতাভ কাঞ্জিলালের নাম উল্লেখ করেন অভিযোগকারী ছাত্রী। এরপরেই নিন্দার ঝড় ওঠে সব মহলে। শনিবার সকাল থেকে অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
এদিকে ঘটনার সাথে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জড়িয়ে যাওয়ার কারণে মাটিগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রেজিস্ট্রার দিলীপ কুমার সরকার জানিয়েছেন, গত পরশু অফিস থেকে বাড়ি যাওয়ার পর অডিও ক্লিপের বিষয়টি জানতে পারি। মাননীয় উপাচার্য বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। কারণ বারেবারে ওই অডিও ক্লিপে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উঠে আসে। উপাচার্যের নির্দেশ মতো মাটিগাড়া থানায় এফআইআর করা হয়েছে। শিলিগুড়ি কলেজের প্রিন্সিপাল মারফত ছাত্রীর অভিযোগ পত্রটিও পেয়েছি। সেখানে ছাত্রী অভিযোগ করেছেন অমিতাভ কাঞ্জিলাল নামে এক অধ্যাপকের সাথেই তাঁর এই কথা হয়েছে। এই কর্মকান্ডের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কর্মী সত্যিই জড়িত রয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখার আবেদন জানানো হয়েছে। তা ছাড়াও যে শিক্ষকের নাম এই কাজের সাথে জড়িয়ে গিয়েছে তিনি সত্যিই এই কাজের সাথে যুক্ত কিনা তাও দেখার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।