তৃণমূলকে সমর্থন করলেও গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অনড়- বার্তা রোশন গিরির

সাড়ে তিন বছর পর উত্তরবঙ্গের মাটিতে পা রাখবেন বিমল গুরুং। শিলিগুড়িতে করবেন জনসভা। প্রস্তুতি তুঙ্গে৷
Bengal Live শিলিগুড়িঃ তৃণমূলকে সমর্থন করলেও গোর্খাল্যান্ডের দাবিতেই অনড় থাকছে বিমল গুরুং পন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। শনিবার শিলিগুড়িতে গুরুং-এর সভাস্থল পরিদর্শনে এসে সাফ জানিয়ে দিলেন গোর্খা নেতা রোশন গিরি। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অনড় থাকার পাশাপাশি বিনয় তামাং ও অনীত থাপাদের উদ্দেশ্যে রোশন গিরি বলেন, ওরা স্বঘোষিত নেতা। গোর্খাদের জননেতা এখনও বিমল গুরুং।
রবিবার প্রায় সাড়ে তিন বছর পর উত্তরবঙ্গে ফিরছেন বিমল গুরুং। বাগডোগরা বিমান বন্দরে নেমেই সোজা জনসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি। শিলিগুড়ির ইন্দিরা গান্ধী ময়দানে চলছে সভার শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি। এদিন সেই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ইন্দিরা গান্ধী ময়দানে পৌঁছান রোশন গিরি। মঞ্চ তৈরির কাজ দেখার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রোশন গিরি বলেন, বিমল গুরুং আসছেন কাল শিলিগুড়িতে। ওঁকে স্বাগত জানাতেই এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। বিমল গুরুং-কে স্বাগত জানাতে লক্ষাধিক মানুষ জমায়েত করবে সভাস্থলে। বিনয় তামাং, অনীত থাপা প্রসঙ্গে এদিন রোশন গিরি বলেন, বিমল গুরুং পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্স ও ভারতীয় গোর্খাদের জননেতা। মানুষ নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছেন বিমল গুরুংকে। বিনয় তামাং ও অনীত থাপাদের কেউ নেতা বানায়নি। ওরা স্বঘোষিত নেতা হয়েছে। আমরা ওদের কোনও গুরুত্বই দিচ্ছি না। ওদের নেতা হিসেবেই মানি না।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যে রাজনৈতিক দল গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন করবে আমরা তাদেরই সমর্থন জানাবো। বিজেপি আমাদের জন্য কিছুই করেনি। তাই আমরা ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন দেবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে আমরা কোনও ভাবেই সরে আসছি না। যতদিন প্রাণ থাকবে আমরা পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাবো।