রাজ্য

চার দশক ধরে মুসলিম মহিলার হাতে পূজিতা হন শেফালী কালী

স্বপ্নাদেশে মুসলিম মহিলার হাতেই পূজিতা হন শ্যামা মা। সম্প্রীতির পুজোয় মেতে ওঠেন সমগ্র গ্ৰামবাসী। দূর-দূরান্ত থেকে পুজো দেখতে ভিড় জমে এলাকায়।

 

Bengal Live মালদাঃ স্বপ্নাদেশে প্রায় চার দশক ধরে শ্যামা মায়ের আরাধনা চলেছেন এক মুসলিম মহিলা। মালদার হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডী অঞ্চলের মধ্যম কেন্দুয়ার বাসিন্দা শেফালী বেওয়ার এই কালী পুজোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে সম্প্রীতির নজির। এলাকার এই সম্প্রীতির পুজোয় মেতে ওঠেন সমগ্র এলাকাবাসী। পাশাপাশি এই পুজো দেখতে ভিড় জমান দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরাও।

মালদার হবিবপুরের বুলবুলচন্ডী অঞ্চলের মধ্যমকেন্দুয়ার রেল লাইন ঘেঁষা এলাকায় এই কালীর স্থান। পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা এলাকার এক মুসলিম মহিলার শেফালী বেওয়া। শেফালী দেবী বলেন, প্রায় ৪৫ বছর আগে খুব অসুস্থ হয়ে পরেছিলেন তিনি। সেই অসুখ সারাতে পারেননি কোন ডাক্তার ও কবিরাজ। একদিন হঠাৎ তাকে স্বপ্নদেশ দেন মাকালী। স্বপ্নাদেশে বলা হয় মা কালির পুজো করলেই সারবে তার অসুখ। এরপর এই কথা তিনি গ্রামবাসিদের জানালে প্রথমে তা বিশ্বাস করতে চাননি তারা। মুসলিম মহিলা কালী পুজো করবে এই কথা ছড়িয়ে পরে গোটা এলাকায়। এরপর হঠাৎ শেফালী দেবীর শরীরে ভর করেন মা কালী। গ্রামবাসিদের সব কথা বললে তা শুনেই শুরু হয়ে যায় কালীপুজো। এভাবেই প্রায় চার দশক ধরে এক মুসলিম মহিলার হাতেই পূজিতা হয়ে আসছেন কেন্দুয়ার শেফালী কালী। শেফালী দেবীর নাম থেকেই এই পুজোর নাম হয়েছে শেফালী কালী পূজা।

শেফালী দেবী আরও জানান, এই গ্রামে কারোর অসুখ বা কোনও অসুবিধে হলে তারা ছুটে আসেন শেফালী দেবীর কাছে। শেফালী দেবীর শরীরে মা কালী ভর করে এবং তাদের অসুবিধের কথা শুনলে সব অসুখ, অসুবিধে দূর হয়ে যায়। এলাকার মানুষের উদ্যোগে আগের তুলনায় আরও ভালো ভাবে আয়োজন করা হয় মায়ের পুজো। সামনে কালীপুজো, তাই ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মা কালীর মূর্তি তৈরির কাজ। পুজোর ১৫ দিন পর মায়ের মূর্তির সামনে থাকা পুকুরে বিসর্জন করা হয়। গ্রাম ছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মায়ের দর্শন করতে আসেন ভক্তরা।

Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button