প্রথা মেনেই শুভ সূচনা হলো কোচবিহারের বড়দেবীর আরাধনার

প্রায় পাঁচ শতাব্দী পেরিয়ে আজও অমলিন কোচবিহারের বড়দেবীর পুজো। করোনা আবহেও রাজপ্রথা মেনে ময়নাকাঠ পুজোর মধ্য দিয়ে শুরু হলো কোচ রাজ্ বংশের বড়দেবীর আরাধনা।
Bengal Live কোচবিহারঃ করোনা আবহেও রাজআমলের নিয়ম মেনেই শুভারম্ভ হলো কোচবিহারের বড়দেবীর আরাধনার। প্রথানুযায়ী, সোমবার সকাল থেকেই কোচবিহারের গুঞ্জবাড়ির ডাঙ্গরাই মন্দিরে শুরু হয়েছে ময়না কাঠের পুজো। প্রতিমার কাঠামো তৈরি হয় এই ময়নাকাঠ দিয়ে। তাই সেই শক্তিদন্ডের পুজোর মধ্যে দিয়েই কোচ রাজ্ বংশের দেবী দূর্গা, কোচবিহারের বড়দেবীর পুজোর সূচনা হল আজ।
এদিন সকালে পরমান্ন ভোগ সহযোগে পায়রা বলি দিয়ে শেষ হয় এই ময়নাকাঠের পুজো। পুজো শেষে রাজপরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে অজয়কুমার দেববক্সি এসে আহ্বান জানাবেন ময়নাকাঠকে । এরপর পালকি চাপিয়ে মন্দির থেকে মদন মোহন মন্দিরে নিয়ে আসা হবে ময়নাকাঠকে। মদন মোহন মন্দিরে একমাস ধরে চলবে ময়নাকাঠের পুজো। এরপর ফের রাধাষ্টমী তিথিতে দেবীবাড়িতে বড়দেবীর মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে এই ময়নাকাঠ। সেখানে তিনদিন হাওয়া খাওয়ানোর পর এরপর সেই ময়নাকাঠের উপরেই শুরু হবে বড়দেবীর প্রতিমা তৈরির কাজ ।
রাজ্যজুড়ে পেট্রোল পাম্প বন্ধের ডাক
পাঁচ শতাব্দী পেরিয়ে আজও অমলিন কোচবিহারের বড়দেবীর পুজো। প্রায় পাঁচ শতাধিক বছরের বেশি সময়কাল ধরে চলে আসা এই বড়দেবীর পুজোতে নরবলির প্রচলন থাকলেও পড়ে বাতিল করে দেওয়া হয় সেই নিয়ম । তবে বড়দেবীর গুপ্ত পুজোতে এখনও নররক্ত আবশ্যিক। এক্ষেত্রে রাজ আমলের একটি পরিবারের আঙ্গুল চিরে রক্ত দেন । বুধবার গৃহ পুজোর পর শুরু হবে দেবীর প্রতিমা বানানোর কাজ।দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের তত্ত্ববোধানে আজও পূজিত হন বড়দেবী |
রাজপুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন , শুক্লা অষ্টমী তিথিতে ময়নাকাঠের যুগচ্ছেদন পুজো অনুষ্ঠিত হয় প্রথা মেনে। প্রায় একমাস এই শক্তিদন্ডটির পুজো হবে মদনমোহন মন্দিরে। এরপর রাধা অষ্টমী তিথিতে এই দন্ডটি নিয়ে যাওয়া হবে বড়দেবীর মন্দিরে। পুজো শেষে হাওয়া খাওয়ানোর পর শুরু হবে বড়দেবীর প্রতিমা গড়ার কাজ৷ মহারাজাদের অবর্তমানে পুজো পরিচালনার দায়িত্ব সামলায় দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ড।