দুই বান্ধবীর স্বভাব এখনও বদলায়নি, বনজঙ্গলের আড়ালটাই পছন্দ

এখন রসিকবিলের এই এনক্লোজারটি ঠিকানা হয়েছে মাদারিহাটের লোকালয় থেকে উদ্ধার হওয়া বুনো স্বভাবের দুই বান্ধবীর।
Bengal Live কোচবিহারঃ ওদের দেখা নেই। কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁক গলে চোখ যতদূর যায়, কোথাও নেই ওরা। বুনো স্বভাব। হিংস্রতাও রয়েছে আচরণে৷ এনক্লোজারের হাটু জঙ্গলে মুখ গুঁজে নিজেকে লুকিয়ে রাখার বুনো অভ্যাস এখনও রয়ে গেছে ওদের মধ্যে। তাই গরিমা আর রিমঝিমের দেখা কিছুতেই পাচ্ছেন না পর্যটকরা। চিতাবাঘের টানে হাজির হয়েও কোচবিহারের রসিকবিল প্রকৃতি পর্যটনকেন্দ্র থেকে তাই হতাশ হয়েই ফিরতে হচ্ছে উৎসাহী পর্যটকদের। চিতাবাঘেদের স্বভাব বদলাতে তাই দুপুরের খাওয়ার সময় বেশি করে কথা বলা ও তাদের নাম ধরে ডাকাডাকি করছেন বনকর্মীরা। মানুষের আওয়াজের সাথে যাতে তারা পরিচিত হয়ে উঠতে পারে তাই এনক্লোজারে মাংস দেওয়ার সময় দুই চিতাবাঘের নাম ধরে ডাকাডাকি করে তাদের সাথে পরিচিতি বাড়ানোর ভাবনা বন কর্মীদের৷
অ্যাডভেঞ্চার ও পর্বতারোহণের সহজ পাঠ,লিখেছেন বিশাল বিশ্বাস
কোচবিহার বনবিভাগের আধিকারিক বিমান বিশ্বাস বলেন, জঙ্গলে লুকিয়ে থাকাটাই চিতাবাঘেদের স্বভাব। রসিকবিলের চিতাবাঘ দুটিরও একইরকম স্বাভাবিক আচরণ।
১৯৯৫ সালে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে গড়ে উঠেছিল রসিকবিল প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্র। নিরিবিলি পরিবেশে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনাকে ঘিরেই বামআমলে বন দপ্তর এই এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়। আরও বেশি পর্যটক টানতে ২০০৮ সালে গড়ে ওঠে চিতাবাঘের এনক্লোজার। এখন এই এনক্লোজারেই রয়েছে গরিমা ও রিমঝিম নামের দুই মহিলা চিতাবাঘ। ২০১৯ সালের মে মাসে মাদারিহাটে লোকালয়ে দাপিয়ে বেড়ানো চিতাবাঘ দুটিকে রসিকবিলের এনক্লোজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছিল বন দপ্তর৷ এনক্লোজারের পরিবেশে এতদিন কেটে গেলেও এখনও নিজেদের স্বভাব বদলাতে পারেনি দুই বান্ধবী।